সাজেক ভ্যালী

রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নকে দেশের বৃহত্তম ইউনিয়ন বলা হয়ে থাকে মুক্ত বাতাস, প্রকৃতির নিদর্শন আর আঁকাবাঁকা মসৃণ সড়কের দুই ধারে তাকাতেই মন ভরে যায় সবার দীর্ঘ ৬৭ কিলোমিটার পাহাড়ি সড়কে যেতে যেতে অন্যরকম আনন্দ আর ঐতিহ্যবাহী চাঁদের গাড়িতে ঝুলে সাজেক যেতে বেশ মজা এক সময়ের কমলার জন্য বিখ্যাত সাজেকে এখনো মিষ্টি কমলা পাওয়া যায় কাচালং আচালং নদী অতিক্রম করে দীর্ঘ ভ্রমণে মুহূর্তের জন্যও খারাপ লাগে না



প্রথমে যেতে হবে খাগড়াছড়ি অথবা দিঘীনালা। রাজধানী থেকে শান্তি পরিবহন, বিআরটিসি (এসি বাস), ঈগল,  সেন্ট মার্টিন (এসি বাস), সৌদিয়া,  শ্যামলী, এস.আলম পরিবহনে খাগড়াছড়ি এবং দিঘীনালায় সরাসরি যাওয়া যায়।



সাজেকবাসীদের পরিচালিত কয়েকটি দোকানে খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। তবে সেক্ষেত্রে আগেই তাদের জানাতে হবে থাকার জন্য আছে, রূনময় রির্সোট (বিজিবি পরিচালিত), সাজেক রির্সোট (সেনাবাহিনী পরিচালিত) আলোর রির্সোট এবং ক্লাব হাউস।

আলুটিলা বৌদ্ধ মন্দির




আলুটিলা বৌদ্ধ মন্দিরটি খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার সাংকসস নগর অবস্থিত এর খুব কাছেই আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র অবস্থিত একসাথে দুটি জায়গা ঘুরে আসা যায়











শহর থেকে ৮কিঃ মিঃ পশ্চিমে আলুটিলা পাহাড় চূড়ায় আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের খুব কাছে এর অবস্হান












বৌদ্ধ মন্দিরটি খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্শ্বে অবস্থিত হওয়ায় বাস, ট্যাক্সিযোগ যাতায়াত করা যায়

রিছাং ঝর্ণা

জেলা সদর থেকে আলুটিলা পেরিয়ে সামান্য পশ্চিমে মূল রাস্তা থেকে উত্তরে ঝর্ণা স্থানের দূরত্ব সাকুল্যে প্রায় ১১কিঃ মিঃ ঝর্ণার সমগ্র যাত্রা পথটাই দারুণ রোমাঞ্চকর যাত্রাপথে দূরের উঁচু-নীচু সবুজ পাহাড়, বুনোঝোঁপ, নামহীন রঙ্গীন বুনোফুলের নয়নাভিরাম অফুরন্ত সৌন্দর্য্য যে কাউকে এক কল্পনার রাজ্যে নিয়ে যায় ঝর্ণার কাছে গেলে এক পবিত্র স্নিগ্ধতায় দেহমন ভরে উঠে












২৫-৩০ হাত উঁচু পাহাড় থেকে আছড়ে পড়ছে ঝর্ণার জলরাশি, ঢালু পাহাড় গড়িয়ে নীচে নেমে যাচ্ছে এই প্রবাহ। কাছাকাছি দুটো ঝর্ণা রয়েছে স্থানে, প্রতিদিন বহু সংখ্যক পর্যটক এখানে এসে ভীড় জমান এবং ঝর্ণার শীতল পানিতে গা ভিজিয়ে প্রকৃতির সাথে একাত্ম হন। মারমা ভাষায় এর নাম রিছাং ঝর্ণা, ‘রিশব্দের অর্থ পানি আরছাংশব্দের অর্থ গড়িয়ে পড়া




আলুটিলা ‘রহস্যময় সুড়ঙ্গ’

আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে এররহস্যময় সুড়ঙ্গ গা ছমছম করা অনুভূতি নিয়ে পাহাড়ী সুড়ঙ্গ পথ বেয়ে অন্ধকার পাতালে নেমে যাওয়া কল্পনার বিষয় হলেও আলুটিলার সুড়ঙ্গ পথ কল্পনার কিছু নয় স্থানীয় লোকের ভাষায় ‘‘মাতাই হাকর’’ যার বাংলা অর্থ দেবগুহা








গুহামুখের ব্যাস প্রায় ১৮ফুট আর দৈর্ঘ্য প্রায় ২৮০ফুট প্রবেশমুখ শেষের অংশ আলো-আঁধারিতে আচ্ছন্ন পাহাড়ের চূড়া থেকে ২৬৬টি সিঁড়ির নীচে আলুটিলা পাহাড়ের পাদদেশে পাথর আর শিলা মাটির ভাঁজে গড়া রহস্যময় সুড়ঙ্গের অবস্থান 


মাঝখানে নিকষ কালো গাঢ় অন্ধকার গুহার তলদেশ দিয়ে প্রবাহমান শীতল জলের ঝর্ণাধারা গা ছমছম করা অনুভূতি নিয়ে গুহায় প্রবেশ করাটা একদিকে যেমন ভয়সংকুল তেমনি রোমাঞ্চকরও বটে শুধু বাংলাদেশেতো বটেই পৃথিরীর অন্য কোন দেশেও রকম প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গ পথের খুব একটা নজীর নেই







অনন্য সাধারণ গুহায় মশাল বা উজ্জ্বল টর্চের আলো ব্যতীত প্রবেশ করা যায় না মশাল পর্যটন কেন্দ্রেই পাওয়া যায় ১০ টাকার বিনিময়ে গুহার একদিকে ঢুকে অন্যদিকে গিয়ে বেরোতে সময় লাগে মাত্র ১৫/২০মিনিট উপমহাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গ জেলার প্রধান পর্যটন আকর্ষণ






শহর থেকে ৮কিঃ মিঃ পশ্চিমে আলুটিলা পাহাড় চূড়ায় আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে এর অবস্হান


পর্যটন কেন্দ্রটি খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্শ্বে অবস্থিত হওয়ায় বাস, ট্যাক্সিযোগ যাতায়াত করা যায়