বগা লেক


বগালেককে অনেকে ড্রাগনলেকও বলে থাকে সকাল, সন্ধ্যা বা রাতে প্রতি বেলায়ই বগা লেক নতুন রূপে ধরা দেয় সকালের উজ্জ্বল আলো যেমন বগা লেককে দেয় সিগ্ধ সতেজ রূপ ঠিক তেমনি রাতের বেলায় দেখা যায় ভিন্ন এক মায়াবী হাতছানি রাতের বগালেক দিনের বগা লেক হতে একেবারেই আলাদা আর যদি রাতটি হয় চাঁদনী রাত তবে এটি হতে পারে আপনার জীবনের সেরা রাতের একটি কি অসাধারণ সে রূপ নিকষকালো অন্ধকার রাতে পাহাড়ের বুক চিড়ে হঠাৎ একফালি চাঁদ মৃদু আলোর ঝলক নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে বগালেকের শান্তজলে



রুমা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে বগা লেক এর অবস্থান সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৭০০ ফুট উঁচু পাহাড়ে প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট বগা লেক মৃত আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ কিংবা মহাশূন্য থেকে উল্কাপিণ্ডের পতনের ফলে সৃষ্টি হয়েছে দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে আসার ক্লান্তি হারিয়ে যায় হ্রদের অতলগহ্বরে সবকিছু মিলে যেন এক সুন্দরের লীলাভূমি







শান্তজলের হ্রদ আকাশের কাছ থেকে একমুঠো নীল নিয়ে নিজেও ধারন করেছে সে বর্নিল রং পাহাড়ের চুড়ায় নীল জলের আস্তর নীলকাশের সাথে মিশে তৈরি করেছে এক প্রাকৃতিক কোলাজ মুগ্ধ নয়তে দেখতে হয় আকাশ পাহাড় আর জলের মিতালী প্রকৃতি এখানে ঢেলে দিয়েছে একরাশ সবুজের ছোঁয়া





এবার আপনাকে বান্দরবন হতে চান্দেরগাড়ীতে করে যেতে হবে রুমা রুমা থেকে নৌকাতে করে যেতে হবে রুমা বাজারে, প্রায় ঘণ্টার মত লাগে নৌকাতে রুমা বাজারে অবশ্যই বিকাল টার মধ্যে পৌছাতে হবে, টার পরে সেনাবাহিনী আর নতুন কোন চান্দের গাড়ি বগা লেক এর উদ্দেশে রওনা দেওয়ার অনুমতি দেয় না রুমা বাজার থেকে চান্দের গাড়িতে ঘণ্টা লাগে বগা লেক যেতে রুমা বাজারে থাকার জন্য কিছু হোটেল আছে, তবে দিনের মধ্যেই বগালেক চলে যাওয়া উচিত


নীলাচল, বান্দরবান

নীল চাদরের পাহাড় বান্দারবান নিলাচল



সমভূমি থেকে নীলাচলের উচ্চতা প্রায দুই হাজার ফুট পাহাড়ের চূড়ায় গা ছুঁয়ে শরতের সাদা মেঘ ভেসে যাচ্ছে প্রতিটি মুহুর্ত মনে হয় প্রকৃতি যেন স্বাগত জানাচ্ছে আপন আঙ্গিনায় মাতোয়ারা হয়ে একাকার হয়ে যায় চোখের সামনে সবুজে ঘেরা বিরাট পাহাড়ের স্থির মিছিল,মাথার উপরে সাদা মেঘের নৃত্য, রোদ-ছায়ায় সূর্ লেুকোচুরি খেলা শুধুই আন্দোলিত করে মন প্রানকে
যে বয়সেই হোক না কেন প্রকৃতির সাথে খেলায় মেতে উঠতে মন চায় সবার মনে হয় পাহাড়ী স্বর্গভূমীতে সৌন্দর্য্য স্নানে কাটিয়ে দিই সারা জীবন প্রকৃতির,মুগ্ধতা,স্নিগ্ধতা,মমতা,ভালোবাসা খেয়ে যদি বেঁচে থাকা যেত তাহলে সব মানুষের আবাস ঐখানেই হতো নিশ্চিত



নীলাচলে পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িযে মনে হয় স্মৃতি স্তম্ভ হয়ে থাকি তাহলে হয়তো শরতের মতো অন্য ঋতুর প্রকৃতির খেলাও দেখা যাবে প্রতি ঋতুতে তবে এখানের সূর্যোদয় নয়ন জুড়ানো হালকা শীতল বাতাসের সাথে সাদা মেঘের খেলার মাঝে সূর্যকে সোনালী গোলক মনে হয়, সাদা তুলা দন্ডের মধ্যে মেঘের উপর সোনালী আভা ছড়াচ্ছে যা চোখে না দেখে কল্পনাতেও কল্পনা করা কঠিন




নীলাচল পর্যটন কমপ্লেক্সে জনপ্রতি প্রবেশ মূল্য ৩০ টাকা নীলাচলে যেতে সড়কের টোল পরিশোধ করতে হয় অটো রিকশা ৩০ টাকা, জিপ ৬০ টাকা



প্রথমে আপনাকে বান্দরবান শহরে যেতে হবে এরপর বান্দরবান বাস ষ্টেশন থেকে নীলাচল পর্যটন কমপ্লেক্স যেতে অবস্থানের সময়ানুযায়ী অটো রিকশার ভাড়া পড়বে ৫শথেকে হাজার টাকা আর চাঁদের গাড়ি কিংবা জিপ গাড়ির ভাড়া পড়বে হাজার ২শথেকে হাজার টাকা




আপনি চাইলে নীলাচল স্কেপ রিসোর্টে থাকতে পারেন নীলাচল স্কেপ রিসোর্টে তিনটি কটেজে ছয়টি কক্ষ আছে প্রতিটি কক্ষের ভাড়া হাজার টাকা এছাড়া রিসোর্টের অতিথিদের জন্য ভালো মানের খাবারের ব্যবস্থা করে থাকেন কর্তৃপক্